স্বদেশ ডেস্ক:
মিশরের পিরামিডে ফেরাউনের লাশ মমি করে রাখা হয়েছে। এখনও মানুষ তা দেখতে পারে। মৃত্যুর পর এমনভাবে দেহ সংরক্ষণের নাকি ইচ্ছা ছিল দিয়েগো ম্যারাডোনার। অদ্ভুত এমন ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছে আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম।
শুক্রবার সকালে বাবা-মায়ের পাশে শায়িত হয়েছেন ফুটবল বিশ্বের অন্যতম গ্রেট ম্যারাডোনা। বুধবার হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি।
ম্যারাডোনা চিরনিদ্রায়। কিন্তু শোকের আবহ কাটেনি। আর্জেন্টিনায় রাষ্ট্রীয় শোক চলছে। বিশ্বজুড়ে মাতম চলছে ফুটবলপ্রেমীদের। এমন পরিস্থিতির মধ্যে ম্যারাডোনার ইচ্ছার কথা প্রকাশ পাওয়ার পর চলছে নতুন আলোচনা।
করোনায় লকডাউন চলাকালে ম্যারাডোনা নাকি তার বন্ধুদের বলেছিলেন, মারা যাওয়ার পর ভক্তদের জন্য তার দেহ যেন সংরক্ষণ করে রাখা হয়। ম্যারাডোনার ঘনিষ্ঠ ও আর্জেন্টাইন দৈনিক টিওয়াইসি স্পোর্টসের সংবাদকর্মী মার্টিন আলভারো জানিয়েছেন এমন তথ্য।
টিওয়াইসি স্পোর্টসকে আলভারো বলেন, ‘প্রথমে তার মূর্তি বানানোর প্রসঙ্গ উঠেছিল। কিন্তু তিনি মানা করে বলেন, না, আমি চাই ওরা দেহটা সংরক্ষণ করুক।’ম্যারাডোনার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল আলভারোর। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকেও তিনি জানিয়েছেন, ‘ম্যারাডোনা আমাদের সঙ্গে চিরকাল থাকতে চেয়েছিলেন।’
ম্যারাডোনা নাকি এই ইচ্ছার দলি (নোটারি) প্রস্তুতের জন্য তার আইনজীবি মাতিয়াস মোরলাকে পরামর্শও দিয়েছিলেন। গত ১৩ অক্টোবর এই ইচ্ছার দলিল নাকি তৈরিও করা হয়েছিল। কিন্তু শায়িত করার পর কেন এমন ইচ্ছার কথা প্রকাশ হলো, কিংবা মৃত্যুর পরপরই কেন জানানো হলো না, তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে খোদ আর্জেন্টিনায়। এ নিয়ে ম্যারাডোনার পরিবারের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আর্জেন্টিনার আধুনিক ইতিহাসে তিনজনের দেহ সংরক্ষণের রেকর্ড আছে। তারা হলেন আর্জেন্টিনার তিনবারের প্রেসিডেন্ট জুয়ান পেরন এবং তাঁর স্ত্রী ও আধ্যাত্মিক নেতা খ্যাত ইভা পেরন।